জীবনী
মাহমুদ হাসান খান তিনি ১৯৯৪ সালে পপুলার প্যাকেজেস অ্যান্ড অ্যাকসেসরিজ লিমিটেড নামে একটি কার্টন উৎপাদন ইউনিট দিয়ে তার উদ্যোক্তা যাত্রা শুরু করেন। তার প্রথম ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট, রাইজিং ফ্যাশনস লিমিটেড, ১৯৯৭ সালে ঢাকার মিরপুরে প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে রাইজিং গ্রুপ স্পিনিং, টেক্সটাইল, ডাইং, ফিনিশিং এবং পোশাক উৎপাদনের ক্ষেত্রে সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে সম্প্রসারিত হয়েছে। তার উদ্যোক্তা নেতৃত্বে রাইজিং অ্যাপারেলস লিমিটেড ২০০৩-২০০৪ সালে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি (ব্রোঞ্জ) অর্জন করে। তিনি একাধিক মেয়াদে বিজিএমইএ-এর পরিচালক এবং সহ-সভাপতির পদে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং বর্তমান সভাপতি। তিনি মেরিডিয়ান ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের বোর্ডে অরুণিমা অ্যাপারেলস লিমিটেডের মনোনীত পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন এবং এর অডিট কমিটির ভাইস চেয়ারম্যানের পদে অধিষ্ঠিত। তাঁর কর্মজীবন মূলত তৈরি পোশাক শিল্পের স্বার্থ রক্ষা, এই খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং বিজিএমইএ-এর সদস্যদের সেবা প্রদানের উপর নিবদ্ধ।
তিনি কী করেছেন
জনাব মাহমুদ হাসান খান -এর কিছু শীর্ষ কৃতিত্ব:
· বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
· তার প্রাথমিক পদক্ষেপগুলির মধ্যে একটি ছিল বিজিএমইএ সার্ভিস চার্জেস ২৫% হ্রাস ঘোষণা করা, যা সদস্যদের ব্যবসা করার খরচ কমানোর প্রতিশ্রুতির প্রতীক।
· তিনি মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজেস জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।রাজনৈতিক ক্যারিয়ার
এই আসনের জন্য পরিকল্পনা
মাহমুদ হাসান খান রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে ব্যবসায়ীদের জন্য কাজ করতে আগ্রহী। তিনি চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের জনগণের জন্য ইতিবাচক ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য
· সীমান্ত ব্যবস্থাপনা: দীর্ঘ সীমান্ত এলাকা হওয়ায় অবৈধ প্রবেশ, মাদক ও চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
· কৃষি ও শিল্পের সমন্বয়: কেরু অ্যান্ড কোম্পানির মতো বৃহৎ শিল্প এবং দত্তনগর খামারের উন্নয়ন ও পরিচালনাকে স্থানীয় কৃষকদের স্বার্থের সঙ্গে সমন্বয় করা।
· পানি নিষ্কাশন ও জলাবদ্ধতা: বর্ষা মৌসুমে নিচু এলাকায় পানি নিষ্কাশন এবং জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়া।
· কর্মসংস্থান: শিল্প ও কৃষি ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সুযোগ ব্যবহার করে শিক্ষিত বেকারদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।